জহিরুল হক বাবু।।
কুমিল্লা বুড়িচং উপজেলার বাকশিমুল ইউনিয়ের কালিকাপুর গ্রামে চলছিল বিয়ের ধুমধাম ও খাওয়ার আয়োজন। চারদিকে বর ও কনেপক্ষের হইচই আর আনন্দ উল্লাস। হঠাৎ করে থেমে যায় সব ধুমধাম ও আনুষ্ঠানিকতা।
বাল্যবিবাহের অভিযোগে সেখানে পুলিশ নিয়ে উপস্থিত হন উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ফাতেমাতুজ জোহরা। তখন খাওয়া দাওয়া ফেলে বউ নিয়ে পালিয়ে যান বর ও বরযাত্রীরা।
এদিকে বর, বরযাত্রী ও কনেকে না পেয়ে কনের চাচাকে আটক করে নিয়ে যায় পুলিশ।
জানা যায়, কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার কালিকাপুর গ্রামের দুবাই মৃত- আয়েত আলীর ছেলে প্রবাসী রাজিব হোসেনের সঙ্গে একই গ্রামের আমজাদ হোসেন এর মেয়ে মিম আক্তারের বিয়ে আগেই সম্পন্ন হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) ছিল আনুষ্ঠানিকভাবে তুলে নিয়ে যাওয়ার দিন।
মিম আক্তার বিয়ের জন্য প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়ায় বাল্যবিবাহের অভিযোগ পেয়ে সেখানে হানা দেন উপজেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা ফাতেমাতুজ জোহরা। তাদের দেখে কনেকে নিয়ে বর ও বরযাত্রীরা পালিয়ে যান।
মিম আক্তার বুড়িচং উপজেলা শ্রীমন্তপুর পুর এম ছাত্তার উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
দুবাই প্রবাসী বর রাজিব হোসেনের চাচা বলেন, তাদের বিয়ে আগেই হয়ে গেছে। আজ ছিল কনেকে উঠিয়ে নেওয়ার দিন।
এ বিষয়ে বুড়িচং উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাহিদা আক্তার জানান, বাল্য বিয়ের আয়োজন করার মেয়ের চাচা ও ছেলের চাচাত ভাইকে আটক করে মুচলেকা এবং জরিমানা আদায় করা হয়। বাল্য বিবাহের বিরুদ্ধে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কঠোর অবস্থান রয়েছে বলে তিনি জানান।
আরো দেখুন:You cannot copy content of this page